বাক্‌ ১৩২ ।। পদ্মা সচদেব ।। অনুবাদ : মধুছন্দা মিত্র ঘোষ





পদ্মা সচদেবের দুটি কবিতা

পদ্মা সচদেব : হিন্দী ডোগরি ভাষার কবি উপন্যাসকার পদ্মা সচদেবের জন্ম ১৭ই এপ্রিল ১৯৪০, জম্বু প্রদেশে প্রথম জীবনে অল ইন্ডিয়া রেডিও পরে দিল্লী রেডিওতে ডোগরি সমাচার বাচিক শিল্পী ঘোষিকার ভূমিকায় চাকরি করেন তাঁর উল্লেখনীয় রচনা- নৌসিন,আমরাই, উত্তরবাহিনী, তৈথিয়াঁ, পোতা পোতা নিমবল, ভাই কো নহি ধনঞ্জয়, জম্মু যো কভি সাহারা থা, মেরি কবিতা মেরি গীত ইত্যাদি নানান সম্মানীয় পুরস্কার- পদ্মশ্রী (২০০১), সাহিত্য আকাদেমি (১৯৭১), মধ্যপ্রদেশ সরকারের কবীর সম্মান (২০০৭-২০০৮), সরস্বতী সম্মান (২০১৫), দিনুভাই পন্থ লাইফ টাইম অ্যাচিভমেন্ট, রাজা রামমোহন রায় পুরস্কার প্রমুখ



কালো মুখ

আমাকে তো কেউই জানায়নি
প্রাণধারনের রীতি-প্রথা
গম খেতের ওপর দিয়ে যেতে হতো
কিন্তু যবে থেকে মাতৃদুগ্ধ পান শুরু হলো
নিজে নিজেই শিখে গেলাম

তেমনই এক দিন
আমি হামাগুড়ি দিয়ে চলতে চলতে
গম খেত পর্যন্ত পৌঁছে গেলাম
গমের সাথে-সাথে ছোলাও অঙ্কুরিত হয়েছিল

আমার মা
সবুজ সবুজ ছোলাগুলি তপ্ত বালির আঁচে ভেজে
আমাকে খেতে দিলেন
আমি মুখে পুরে
হাসতে হাসতে ফেলে দিলাম

আমার তখন দাঁতও ওঠেনি
তপ্ত ছোলায় আমার কচি সারাটা মুখ
কালো হয়ে গেল
কালচে লালা ঝরতে লাগলো

মা তো আমাকে একথা জানাননি যে
যখনই দু টুকরো রুটির কাঙ্খিত বাসনায় 
কেউ এগোতে থাকে
তার মুখ নিশ্চয়ই কালো হয়ে যায়! 


এই পথ

তোমার জানা ছিল
এই পথ ওখান থেকে শুরু হয়নি
যেখানে পৌঁছতে হবে আমাকে
ওই দিক পর্যন্ত যাচ্ছিলেই না তুমি
তবু তুমি চলছিলে
আমার সাথে-সাথে
এই পথ তো ফুরোচ্ছেও না
আমরা দুজন অপেক্ষায় রয়েছি
আমি আমার গন্তব্যের জন্য
তুমি আমার গমন পথের-
যাও তুমি ফিরে চলে যাও
আমার গন্তব্য আমি নিজেই খুঁজে নেবো
পথ যদি না পাই নির্মাণ করে নেবো
আমি নিজের পথ নির্মাণ করে নিতে জানি!




No comments:

Post a Comment